খাঁন বাহাদুর আব্দুল মজিদঃ
গাইবান্দা শহর সংলগ্ন কোমরনই গ্রামে ১৮৮০ সালে খাঁন বাহাদুর আব্দুল মজিদ জন্ম গ্রহণ করেন। খাঁন বাহাদুর আব্দুল মজিদ রংপুর জেলা বোর্ড ও লোকাল বোর্ডের সদস্য এবং একজন অনারারী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ইংরেজ আমলে সমগ্র পূর্ব বাংলায় যে কয়জন ‘খাঁন বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত হন তাঁদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
হামিদ উদ্দিন খাঁঃ
হামিদ উদ্দিন খাঁ ছিলেন গাইবান্ধা মিউনিসিপ্যালিটির প্রথম নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান। পাকিস্তান আন্দোলনের সময় তিনি ইংরেজ প্রদত্ত ‘খাঁন সাহেব’ উপাধি পরিত্যাগ করেন । পরে তিনি মুসলিম লীগে যোগদান করে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেন।
টিআইএম নুরুন্নবী চৌধুরীঃ
তিনি ১৮৮৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি এতদাঞ্চলের প্রথম মুসলমান আইসিএস অফিসার ছিলেন। তিনি ছিলেন এদেশের স্বনির্ভর আন্দোলনের প্রবক্তা।
আবু হোসেন সরকারঃ
তিনি ১৮৯৫ ইং সালে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন এ দেশের একজন কৃতি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৯৩৭ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য এবং রংপুর জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৫৪ ইং সালে পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৫৫ সালের ৬ জুন পূর্ব পাকিস্তানের মূখ্য মন্ত্রি নির্বাচিত হন এবং ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্য মন্ত্রি নিযুক্ত হন।
সিরাজউদ্দিন আহম্মেদঃ
১৮৯৫ ইং সালে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলায় জনাব সিরাজউদ্দিন আহম্মেদ জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি সাবেক পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের ডেপুটি স্পিকার ছিলেন।
শাহ্ আব্দুল হামিদঃ
গাইবান্ধার কৃতি সন্তানদের মধ্যে শাহ্ আব্দুল হামিদ অন্যতম। তিনি ১৯০০ ইং সালে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি পূর্ব বাংলার (বর্তমান বাংলাদেশ) গণপরিষদের প্রথম স্পিকার ছিলেন। তাঁর নামেই গাইবান্ধা স্টেডিয়াম এর নামকরণ করা হয় ‘‘শাহ্ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়াম’’।
কাজী মোহাম্মদ বদরুদ্দোজাঃ
তিনি ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারী গাইবান্ধা সদর উপজেলার পি,কে বিশ্বাস রোডে পৈত্রিক বাসভবনে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৬৫ইং সালে আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পি,এইচ,ডি এবং সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেনেটিক এন্ড প্লান্ট ব্রিডিং বিষয়ে ডিপ্লোমা লাভ করেন। কাজী পেয়ারা নামে বিশাল সাইজের যে পেয়ারাটি রসনা তৃপ্তিতে আজ সারা দেশে জনপ্রিয়তা পেয়েছে তিনিই এর উদ্ভাবক। তাঁর নামেই এ পেয়ারার নাম রাখা হয় ‘‘কাজী পেয়ারা’’ ।
মাহমুদুজ্জামান বাবুঃ
গাইবান্ধা জেলার কৃতি সন্তানদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন মাহমুদুজ্জামান বাবু। তিনি “ আমি বাংলার গান গাই” গানের মাধ্যমে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। গাইবান্ধা জেলা শহরের মধ্যপাড়ায় তার বাড়ি অবস্থিত।
বদিউল আলমঃ
মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বীরত্বসূচক ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত হন দুৎসাহসী নৌ কমান্ডো বদিউল আলম। তিনি গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দা।
বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক
ক্রমিক নং |
নাম |
জন্ম |
প্রধান রচনা |
১ |
কবি সাকের মাহমুদ |
১৭৪৯-৪০ খ্রি: বাদিয়াখালী |
এধুমালা উপাখ্যান |
২ |
কবি হরিশ চন্দ্র |
কালিয়াগ্রাম, বামনডাঙ্গা |
চন্ডি বিজয় (কাব্য) |
৩ |
শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ |
১৮৬৩ খ্রি: পদুমশহর,সাঘাটা |
সোহরাব বধ (কাব্য) |
৪ |
নাজীর মোহাম্মদ সরকার |
১৮০০ খ্রি: গোবিন্দগঞ্জ |
সোনাই যাত্রা (কাব্য) |
৫ |
তুলশী লাহড়ী |
১৮৮৭ খ্রি: সাদুল্যাপুর |
দুঃখীর ঈমান, ছেড়া তার (নাট্যগ্রন্থ)। |
৬ |
দৌলাতুন নেছা খাতুন |
১৯২২ খ্রি: বগুড়া |
স্বর্ণোদ্যান, জীবনতারা |
৭ |
শামছুল হক |
১৯২৫ খ্রি: সুন্দরগঞ্জ |
চম্পা চামেলী, নয়-ছয় , নদীর নাম তিস্তা (উপন্যাস) |
৮ |
ছদরউদ্দিন |
১৯১০ খ্রি: সুন্দরগঞ্জ |
একফালি চাঁদ, পয়গাম, সংগ্রাম |
৯ |
মোঃ কছির উদ্দিন |
পলাশবাড়ী |
ঋণের বাঁধন (উপন্যাস) |
১০ |
আবুল হাসান শামসুদ্দিন |
গাইবান্ধা |
মুখর প্রান্তর (গল্প সংকলন) |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস