Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
বালাসীঘাট বিস্তারিত...
স্থান

গাইবান্ধা জেলা শহর হতে প্রায় ০৮ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ফুলছড়ি উপজেলার, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত।

কিভাবে যাওয়া যায়

প্রথমে বাস অথবা ট্রেনযোগে গাইবান্ধা জেলা শহরে আসতে হবে।

গাইবান্ধা জেলা বাসস্ট্যান্ড হতে যাওয়ার উপায়ঃ অটোরিক্সা, রিক্সা ও সি.এন.জি.যোগে যাওয়া যায়। অটোরিক্সা ভাড়া-১৫০ টাকা, রিক্সা ভাড়া- ৮০-১০০ টাকা।

যোগাযোগ

0

বিস্তারিত

১৯৩৮ সালে ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলায় তিস্তামুখ ঘাট ও জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাটে যমুনা নদীতে রেল ফেরির সার্ভিস চালু করা হয়। তৎকালীন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর রংপুর জেলার গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগর ও ঠাকুরগাঁও জেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে যাত্রী ও মালামাল পারাপারের জন্য যোগাযোগ গড়ে তুলতে এ ফেরি সার্ভিসটি চালু করে। এরপর থেকেই এ ঘাট দিয়ে স্বল্পব্যয়ে অল্প  সময়ে যাত্রী পারাপার, কৃষিপণ্য, ডিজেল, সার সরবরাহসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহন করা হতো। ১৯৯০ সালের পর যমুনা নদীর নাব্যতা সঙ্কটের কারণে ফেরি সার্ভিসটি তিস্তামুখঘাট থেকে বালাসীঘাটে স্থানান্তর করা হয়।

বালাসীঘাটের মনরম সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষ। অনেকে সকালে সপরিবারে বেড়াতে এসে সারাদিন থেকে সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফিরছেন। সঙ্গে নিয়ে ফিরছেন আনন্দময় স্মৃতি। শহর  থেকে প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার দূরে  ব্রক্ষ্মপুত্র নদের কুলঘেষা প্রাকৃতিক  সৌন্দর্যমন্ডিত বাঁধ এলাকা ধীরে ধীরে সবার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।

বালাসীঘাট বাঁধ এলাকা সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই  ভ্রমণপিপাসু মানুষের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠছে। বিশেষ করে বিকেলে এখানে অনেকেই দল বেঁধে বন্ধুবান্ধব ও পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসেন। ঈদ, পূজা, নববর্ষ ও ভেলেন্টাইন ডে সহ বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে এলাকাটি ভ্রমণপিপাসু মানুষের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠে। ব্রক্ষ্মপুত্র নদের উত্তাল  ঢেউ, নির্মল বাতাস আর বাহারি নৈসর্গিক প্রকৃতি আগতদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দেয়। দর্শনার্থীরা এখানে এসে নদীর  পাড়ে ঘুরে বেড়ানো, নদীতে নৌকাভ্রমণ, চরের মাঝে ফসলের জমিতে হাটতে এবং নদের উপর বেধে রাখা বাংলাদেশ রেলওয়ের ফেরীর ওপরে দাঁড়িয়ে নদীর বুকে সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ পান।শুধু জেলা শহর থেকেই নয়, আশপাশের জেলাগুলো থেকেও অনেকে এখানে বেড়াতে আসেন ।